ইসরায়েলি আইডিএফ প্রধানের স্বীকারোক্তি: ইরানে গোপনে অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েলি কমান্ডো বাহিনী

ইয়নেট নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামির বুধবার এক চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি জানান, ইরানের সঙ্গে চলমান ১২ দিনের যুদ্ধকালীন সময়ে ইসরায়েলের মাটি থেকে নয়, বরং সরাসরি ইরানের মাটিতে গোপন অভিযান চালিয়েছে আইডিএফ এর গ্রাউন্ড কমান্ডো এবং মোসাদ সদস্যরা।
জামির বলেন, “আমরা ইরানি আকাশসীমা এবং যেসব স্থানে অভিযান চালাতে চেয়েছি, সেসব স্থানের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের আকাশ ও স্থল কমান্ডো বাহিনীর চমৎকার সমন্বয় এবং বিভ্রান্তিমূলক কৌশলের কারণে।”
তিনি আরও বলেন, এই অভিযান ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে একটি "পিনপয়েন্ট স্ট্রাইক" নয়, বরং একটি "ব্যবস্থাগত আঘাত" হেনেছে। সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক বছরের জন্য পিছিয়ে পড়েছে। জামির দৃঢ়ভাবে বলেন, “ইসরায়েল কখনোই ইরানকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করতে দেবে না।”
মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ
তার বক্তব্যের শুরুতে জামির গাজায় নিহত সাতজন ইসরায়েলি সৈন্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, “অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’-এর প্রাথমিক মূল্যায়নের সময় আমি এই দুঃসংবাদ পাই।”
তিনি পরে রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হার্জোগের সাথে আইডিএফ-এর সাইবার নিরাপত্তা ও যোগাযোগ বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং ইরানে চালানো সাইবার অপারেশনের ইঙ্গিত দেন। জামির বলেন, “অনেক কিছুই আছে যা আমরা প্রকাশ করতে পারি না, তবে এই ইউনিটের কাজ আমাদের অসাধারণ অর্জনের অন্যতম অংশ ছিল।”
তিনি জানান, অনেক আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক চমকপ্রদ কৌশল এই ইউনিট থেকেই পরিকল্পনা ও বাস্তবায়িত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি হার্জোগ সৈন্যদের উদ্দেশে বলেন, “আইডিএফ হলো জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এখানে কেউ কোনো রাজনৈতিক মতভেদ নিয়ে কাজ করে না। আমরা একটাই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করি — ইসরায়েলের সুরক্ষা।”
জেনারেল জামির তার বক্তব্যের শেষভাগে বলেন, “আমরা উচ্চ লক্ষ্য স্থির করেছিলাম এবং তা অতিক্রম করেছি। তবে আমাদের পা মাটিতে রাখতে হবে, সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, নেতৃত্ব দিতে হবে, এবং বাকি মিশনগুলোও সম্পন্ন করতে হবে।”
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন