পার্সটুডের প্রকাশিত এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মূলত ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক অভিযানের ওপর ফক্স নিউজের প্রশংসামূলক প্রতিবেদন দেখার পরই।

নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে ইরান ইস্যুতে সামরিক হস্তক্ষেপে আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু ১৩ জুন ইসরাইলের তেহরানে হামলার পরও নিরব থাকা ট্রাম্প ১৪ জুন সকালে ফক্স নিউজে ইসরায়েলের প্রশংসা দেখে তার অবস্থান বদলান। ফক্স নিউজে ইরানি কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যাকে “বিজয়” হিসেবে তুলে ধরা হয়, এবং ট্রাম্প এই ‘ইতিহাসের অংশ’ হতে চান।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক হেলেন কুপার MSNBC-কে বলেন, “ট্রাম্প সকালে ঘুম থেকে উঠে ফক্স নিউজে যা দেখলেন, তাতে প্রভাবিত হয়ে তিনি ইরানে সামরিক হামলার সিদ্ধান্ত নেন।” এরপর তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও ১৭ জুন দাবি করেন, “আমরা ইরানের আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি।”

মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ

দখলকৃত ভূখণ্ড ছেড়ে পালাও”—জায়নিস্টদের ইরানের কঠোর হুঁশিয়ারি

ইসরাইলি হামলার জবাবে ইরানের ভয়াবহ প্রতিশোধ, তেল আবিবে সামরিক ঘাঁটিতে একের পর এক আঘাত

ইতালি থেকে গাজামুখী জাহাজ! অবরোধ ভাঙতে গ্রেটা থুনবার্গের সাহসী পদক্ষেপ

তেহরানে ইসরায়েলের নতুন হামলা প্রতিহত করল ইরানি আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী

১৩ জুন ইসরাইলের হামলায় ইরানের কয়েকজন উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী শহীদ হন। তারপর ২২ জুন রবিবার মার্কিন বাহিনী সরাসরি ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে কার্যত ইসরাইলের যুদ্ধে অংশ নেয়।

এই ঘটনার পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে বলেন, “ইরান তার সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সবধরনের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করে।”

ট্রাম্প পরে ২৪ জুন দাবি করেন, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। তবে ইরান জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুদ্ধ শুরু করেনি এবং যদি ইসরাইল তার আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে পাল্টা হামলার ইচ্ছা ইরানের নেই।

সূত্র: পার্সটুডে, নিউ ইয়র্ক টাইমস, MSNBC