ইতালি থেকে গাজামুখী জাহাজ! অবরোধ ভাঙতে গ্রেটা থুনবার্গের সাহসী পদক্ষেপ
পরিবেশবাদী কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ ১২ জন অধিকারকর্মী গাজায় সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে একটি জাহাজে যাত্রা শুরু করেছেন, যার লক্ষ্য ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আয়োজক সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন।
জাহাজটির নাম "ম্যাডলিন", এটি ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সিসিলির কাতানিয়া বন্দরে রোববার থেকে যাত্রা শুরু করেছে।
এই যাত্রার উদ্দেশ্য শুধু সাহায্য পৌঁছানো নয়, বিশ্বব্যাপী চলমান মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
এক সংবাদ সম্মেলনে থুনবার্গ বলেন,
“আমরা এটা করছি কারণ যত কঠিন পরিস্থিতিই হোক না কেন, চেষ্টা করে যেতে হবে। কারণ আমরা চেষ্টা বন্ধ করলেই আমাদের মানবতা হেরে যায়। এই মিশন যতই বিপজ্জনক হোক না কেন, বিশ্ব যখন এই সরাসরি সম্প্রচারিত গণহত্যার প্রতি নীরব থাকে — সেটিই সবচেয়ে বড় বিপদ।”
এই কথা বলার সময় থুনবার্গ কেঁদে ফেলেন।
মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ
ইসরায়েল অবশ্য এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে যে তারা গণহত্যা চালাচ্ছে।
চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি ইসরায়েল গাজার ওপর প্রায় তিন মাস ধরে চলা অবরোধ কিছুটা শিথিল করলেও, এখনো ত্রাণ প্রবেশ খুবই সীমিত। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে গাজা চরম দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে।
ম্যাডলিন জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রিয় টিভি সিরিজ “গেম অফ থ্রোনস”-এর অভিনেতা লিয়াম কানিংহ্যাম এবং ফরাসি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান, যিনি ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। ইসরায়েলের গাজা হামলার বিরোধিতা করায় তাকে ইসরায়েল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এ দলটি যদি পথে বাধা না পায়, তবে ৭ দিনের মধ্যে গাজা উপকূলে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে।
থুনবার্গ গত মাসে ফ্রিডম ফ্লোটিলার একটি আগের যাত্রায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও, ওই সময় "কনসায়েন্স" নামক আরেকটি জাহাজ মাল্টার উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ড্রোন হামলার শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে জাহাজের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংগঠনটি এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে।
অ্যাক্টিভিস্ট থিয়াগো অ্যাভিলা বলেন, “আমরা কেবল সমুদ্রপথে অবরোধ ভাঙছি না, এটি একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ। ভূমিপথেও অবরোধ ভাঙার উদ্যোগ চলবে।” তিনি জানান, "গ্লোবাল মার্চ টু গাজা" নামে একটি আন্তর্জাতিক আন্দোলন মধ্য জুনে মিশর থেকে রওনা দিয়ে রাফাহ সীমান্তে পৌঁছাবে, যেখানে চিকিৎসক, আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীরাও অংশ নেবেন। সেখানে তারা বিক্ষোভের মাধ্যমে ইসরায়েলের হামলা বন্ধ ও সীমান্ত খুলে দেওয়ার দাবি জানাবেন।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন