ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন সম্মেলন: অংশ না নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সম্ভাব্য দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান নিয়ে আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘে আয়োজিত এক সম্মেলনে অংশ না নিতে বিশ্বজুড়ে সরকারগুলোকে নিরুৎসাহিত করছে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্সের হাতে পৌঁছানো এক কূটনৈতিক বার্তায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার পাঠানো মার্কিন কূটনৈতিক বার্তায় বলা হয়েছে, সম্মেলনের পর যারা "ইসরায়েল-বিরোধী পদক্ষেপ" নেবে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানকারী হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানানো হতে পারে।
এই পদক্ষেপ সরাসরি ফ্রান্স ও সৌদি আরবের কূটনীতির বিরোধী, যারা নিউইয়র্কে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের সহ-আয়োজক। সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে — একদিকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা তৈরি করা, অন্যদিকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ
মার্কিন বার্তায় বলা হয়েছে,
“আমরা সরকারগুলোকে সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, কারণ এটি গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য চলমান গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোর বিপরীতে কাজ করছে।”
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে ফরাসি কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে সচেষ্ট।
মার্কিন বার্তায় আরও বলা হয়:
“যুক্তরাষ্ট্র এমন যেকোনো একতরফা পদক্ষেপের বিরোধিতা করে, যার মাধ্যমে একটি কাল্পনিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় — যা শান্তি আলোচনায় আইনি ও রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে এবং চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলকে চাপের মুখে ফেলবে, ফলে শত্রুদের পক্ষে সুবিধা হবে।”
এদিকে, ব্রিটেন ও কানাডা — যুক্তরাষ্ট্রের জি৭ মিত্র দেশ — দুইজন ইসরায়েলি কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যাতে ইসরায়েলকে গাজা যুদ্ধ বন্ধে চাপ দেওয়া যায়।
মার্কিন বার্তায় আরও বলা হয়:
“সম্মেলন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বয়কট, নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য দণ্ডমূলক ব্যবস্থার প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে — যা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না।”
ইসরায়েল একাধিকবার এই সম্মেলনকে সমালোচনা করেছে এবং বলেছে — ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার জন্য ইসলামপন্থী হামাসকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে এতে। তারা ফ্রান্সকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামলার প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন