গাজায় শিশুরা মরছে, আর নেতানিয়াহুর ছেলের রাজকীয় বিয়ে!—জনগণের রোষানলে প্রধানমন্ত্রী

সরায়েল যখন গাজায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, শিশুরা পুড়ছে, মায়েরা কাঁদছে, তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যস্ত তার পুত্র আভনার নেতানিয়াহুর বিলাসবহুল বিয়ে নিয়ে। তেলআবিবের বাইরে এক অভিজাত ভেন্যুতে হাজার অতিথির অংশগ্রহণে এই রাজকীয় বিয়ে হচ্ছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে। জনগণের কর ও রাষ্ট্রের বাহিনী যেন এখন এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত পারিবারিক অনুষ্ঠানের সেবায় নিয়োজিত।
আগামী সোমবার অনুষ্ঠানের দিন আকাশপথ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। এমনকি ড্রোনও ওড়ানো যাবে না। কেবলমাত্র পুলিশের হেলিকপ্টার চলাচল করতে পারবে। চারপাশের রাস্তাও সিল করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে অতিথিদের চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। এই অপচয় ও নিরাপত্তা জাঁকজমকের মাঝে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে গাজার নিহত নিরীহ মানুষের পরিবার ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
বিক্ষোভকারীরা এই অনুষ্ঠান ঘিরে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তারা জানিয়েছে, তারা বিয়ের অতিথিদের মাঝে গাজায় এখনো আটক থাকা জিম্মিদের ছবি বিলি করবে এবং একটি বই তুলে দেবে, যাতে ৭ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডের জন্য নেতানিয়াহুকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে। সেইসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, টানা ৬১৪ দিন পার হলেও তিনি জিম্মিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ
স্থানীয় বাসিন্দাদেরও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তাদের জানানো হয়েছে, কাজ বা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে না যেতে এবং নিজেদের গ্রামের প্রবেশপথ পাহারা দিতে। যেন কোনোভাবে এই “রাজকীয় বিয়ে” অশান্ত না হয়।
একদিকে গাজা রক্তাক্ত, অন্যদিকে নেতানিয়াহু পরিবার আনন্দে ভাসছে—এই বৈপরীত্যে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। অনেকে বলছেন, “যে দেশের প্রধানমন্ত্রী মানুষের রক্তে পা ভিজিয়ে নিজের ছেলের বিয়ে উদযাপন করেন, সে নেতা আর মানুষ নয়, সে যেন এক অমানবিক শাসক।”
বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এই অপমান ও অবিচারের জবাব জনগণ দেবে—শুধু রাস্তায় নয়, ইতিহাসের পাতায়ও।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন