গাজীপুরের শ্রীপুরে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ এবং তার বাড়ি থেকে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা মোছা: ছাবিনা বাদী হয়ে তায়েব (১৮) নামের এক তরুণসহ চারজনকে বিবাদী করে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী ছাত্রী স্থানীয় কবি নজরুল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে অভিযুক্ত তায়েব দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্যক্ত করে আসছিলেন এবং প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে হুমকি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়েটির মা অভিযুক্তকে সতর্ক করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তায়েব কিশোরীকে অপহরণের হুমকি দেন।

এরই জেরে গত ১৪ জুন ২০২৫ তারিখে বিকেল ৪টার দিকে তায়েব ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা মেয়েকে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন এবং দেখতে পান, বাসা থেকে একটি আইফোন ১২ প্রো (মূল্য আনুমানিক ৬২ হাজার টাকা), নগদ দুই লাখ টাকা এবং প্রায় ২ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কারও নিখোঁজ।

বাংলাদেশ রিলেটেড নিউজ

নব্য চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে: শাকিল উজ্জামান

গোপালপুরে শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কালিহাতীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রাণ গেল চালকের, শিশু আহত

বেগমগঞ্জে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ফুলেল শুভেচ্ছা ও পুনর্মিলনী

ছাত্রীর মায়ের দাবি, মেয়েকে ফুসলিয়ে এই সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্রসহ নিয়ে গেছেন তায়েব। অভিযুক্তের বাবা শহিদ (৪৫), ভাই জহিরুল (২৪) এবং সহযোগী সাগর (২৩) বিষয়টি জানতে পেরে উল্টো তাদের গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

পরিবারটি পরে জানতে পারে, তায়েব ও মেয়েটি বর্তমানে সাগরের বাড়িতে অবস্থান করছেন। সেখানে গেলে তাদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। ছাত্রীটির মা বর্তমানে মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং আশঙ্কা করছেন, তাকে জোরপূর্বক বিয়ে, ধর্ষণ কিংবা খুনও করা হতে পারে।

তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং মেয়েকে দ্রুত উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মতিউর রহমান জানান, “অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। অভিযুক্তের পরিবারকে ছেলে ও মেয়েকে থানায় নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”